সুখি হওয়ার আশ্চর্য্যকর কার্যকরী উপায়!!
৬ : ১০, অপরাহ্ন ।
শনিবার, ১৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সুখি থাকার থেকেও সুখি না থাকাটাই যেন দায়। আপনি সুখি না হন, অসুখি হতে পারবেন না। না, না, না। আপনি সুখি না হলেও আপনাকে ওই সুন্দর ফিল্টার লাগিয়ে ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করতেই হবে, " Hi, guys! কেমন আছেন সবাই? আজকের দিনটা খুবি সুন্দর। আর এই সুন্দর দিনে আমি শুনছি the one and only Salman Khan এর latest movie, "রাধে" এর "সিটি মার" শুনছি। আসলেই মনটা খুবিই শান্তি অনুভব করছি।"
আপনি জানেন না আপনার মনের কি হচ্ছে কিন্তু তারপরেও আপনাকে আর দশটা মানুষের মত Social media তে এসে, I am so happy, life টা খুবিই মজার বলতেই হবে। আরে ভাই, আমরা সবাই আলাদা। সবার সুখি থাকার রাস্তা আলাদা। আলাদা থাকতে দোষটা কথাই? বরং এই সবাই আমরা এক, এই ধারণাটাই আমাদেরকে সব থেকে আলাদা করে দিয়েছি। আর সে বিভাজন এতোটা ভয়াবহ যে তার কাছে ধর্ম, জাত ও বর্ণের বিভাজন ত নস্যি! আমরা সবাই আলাদা, এবং আলাদা থাকাই ভালো, যতক্ষণ না তার জন্য সমগ্র জাতি বা দেশের ক্ষতি হচ্ছে না।
আর সুখের কথাই যদি বলতে হয়, তাহলে বলব ওরে মুর্খের দল, দুঃখ না থাকলে সুখ আসবে কিভাবে। দুঃখ থাকলেই মানুষ সুখের মর্ম বোঝে। সুতরাং আর ওই মিথ্যে সুখের মুখোশ না পরে সত্যিটা সিকার কর। দুঃখ না থাকলেই বুঝবি কিছু একটা গণ্ডগোল পেকেছে।
আমারও কদিন ধরে মনটা খুব ভালো যাচ্ছে না। মনটা কেমন এক আজানা টানে ব্যকুল, অস্থির। তবে আমার মন শান্ত করার উপায় আমার জানা আছে। আমি ওই "Help me "পোস্ট করছি না।
যখনি মন আনছান-আনছান করে; মনকে বলি, ওরে আর কোনো চিন্তা নেই শরত এলো বলে। আবার দেখব কাশ ফুল, ফুটবে শিউলি গাছে, মা আসছে কদিন পরেই, মন যে তাই নাচে। হ্যাঁ, দুর্গা পুজো। দুর্গা পুজো আমেজটাই আলাদা। মায়ের মুখের হাসিটা দেখলেই মনটা কেমন যেন শান্ত-সাবলিল হয়ে যায়। মনে হয় আর কোন চিন্তা নেই, মা আছে ত সাথে। ওই শিউলি ফুলের গন্ধ, কাশ ফুলের শুভ্রা, ধুপ-ধ্বনি। পুরোটা মিলিয়ে সে এক আলাদাই মজা।
আচ্ছা এ বছর পুজো কি দেখতে পাবো? মা, এ বছর কি পারব তোমার চরণে পুষ্প দিতে?
আজ সকালে এক ঘণ্টাই ৪ বার ভুমিকম্প হল এই সিলেটে। তারপর আবার কিছুক্ষণ পর আবার ভুমিকম্প। রৌদ্রও যেন তার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে।
মনটা আজ ফিরতে চাইছে ওই কাশ বনে, ঘ্রাণ পেতে চাইছে শিউলি-ধুপের।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন